Description
মারিয়া পালমা’য় আছে নয় রকম সুর। প্রথমে ‘ভোর ও বাবা’র কথা বলি। এক বাবা বার্মায় ফেলে এসেছেন স্ত্রী ও সন্তানদের। এর জন্য তিনি গুমরে মরতেন। থ্রিতে পড়ার সময় তার সন্তানের ম্যালেরিয়া হয়েছিল। প্রায় এক মাস ধরে বিছানায়। পৃথিবীটাকে মনে হতো নিমগাছ। একদিন ঘুম থেকে উঠে হাতিতে চড়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করল। হাতির পিঠে সে চড়তে পারে কিনা আমরা বলব না। তবে হাতিটা এখনো তার মনে রয়ে গেছে। মাঝে মাঝে হাতির পিঠে চড়ে সে বাবাকে খুঁজতে বেরুয়।
জেলে সোনারাম ঢোল বাজায়। পাড়ার সকলের দুঃখ ঢোলের মধ্যে তুলে নেয়। ঢোল বাজিয়ে মহাজনের পেট ছিঁড়ে ফেলে। অভাব পিষে ফেলে। ছেলের ঘাগুলো মহাজনের কপালে লেপ্টে দেয়। বউয়ের জন্ডিসের মালা মহাজনের বউয়ের গলায় পরিয়ে দেয়। বাজাতে বাজাতে আঙুল ছিঁড়ে গড়িয়ে পড়ে রক্ত।
ছোট্ট একটি নিমগাছ পাল্টে দেয় ৫৭ বছর বয়সী এক মানুষের জীবন। নিমাই যেন আত্মায় বেড়ে উঠছে। তার পথ ধরে আসেন দুটি গাছÑনেলী সেনগুপ্ত ও যতীন্দ্রমোহন। মরো মরো নিমাইয়ে পাতা ফোটে। এ যেন আলগোছে মাথা তুলে বিটোফেনের নবম সিম্ফনি শোনার চেষ্টা।
বুড়িকে দেখে অদ্ভুত কাঁপুনি অনুভব করেছিল গনজালেস। আচ্ছা, অনেক বছর আগে কর্ণফুলীর পলির নিচে তলিয়ে যাওয়া জাহাজটির কথা মনে পড়ছে? ওখানেই থাকত মারিয়া পালমা। বলীকে সে খুঁজে পাবে? নাকি পাথরঘাটার কালো ফিরিঙ্গি গনজালেস তাকে নিয়ে আবার সমুদ্র যাত্রা করবে?
যাত্রা আমাদের কিসমতও করে। বাবা-মা’র স্বপ্ন তার জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দিয়েছিল। তাই সে পালিয়ে ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামে আসে। রেলস্টেশনেই কাটে জীবন। হিজড়ার ভালোবাসায় অঝোর ধারায় অশ্রু গড়ায়। প্রিয় কুকুর আর ফুটবলের কথা ভুলে, দুঃখ লুকিয়ে নেশার ভেতর ডুব দিতে হয়।
হয়ত তখন একটা জিন আছর করে নানার ওপর। নানি তাকে আখের রসের ফুটন্ত কড়াইয়ে ফেলে দেয়। তারপর ওই জিন আছর করে আরো একজনের ওপর। এক রাতে শুনে ঘোড়ার ডাক। ভরাট কণ্ঠে বলছে, দরওয়াজা খুলিয়ে, বহুত দুরসে আয়া।
এ সময় মেথর মনিলাল তবলা বাজাতে বসে। তার ওস্তাদ বলেছিলেন, তবলায় বোল ফোটানো হলো গাছে ফুল ফোটানো। কিন্তু কৃষ্ণের পার্ট করা ছেলের মৃত্যুর পর ফুল ফুটাতে পারে না। তবলা বেয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু।
ঘুঘু হয়ে যাওয়া মোহছেনার অশ্রুও গলে পড়েছিল। স্বপ্ন সাজাতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয় স্বামী ও তার বন্ধুদের হাতে। ঘুঘুটাকে কেউ খুঁজে পায় না। গড়িয়ে অশ্রু পড়ে ছেলেমেয়ে দুটির মুখে। আকাশে তখন নরম মেঘ। আঁধার হয়ে এসেছে।
আসমানের দিঘির চারপাশেও আঁধার। গভীর রাতে এই দিঘিতে পরিরা আসে। তারা কি জানে ধানের গন্ধমাখা জীবন থেকে উঠে আসা রহিমের কথা! রুনা নাকি রুমানা কাকে বেছে নেবে সে? লাঙলের ফলার ধার এখনো তাকে ডাকছে।
Reviews
There are no reviews yet.